• ITI AMI ইতি অমি

    06

    “মনের ঘরে মন যে আমার মন করেছে চুরি।

    মনের খেলাঘরে আজ মনের লুকোচুরি।”

     

    আমাদের মনের ভেতরে রয়েছে বেশ কিছু স্তর। ‘ইতি অমি’-র পাতায় পাতায় ধরা পড়েছে মনের বিভিন্ন বন্ধ কুঠুরিতে আমাদের অবাধ যাওয়ার আসার ছবি। মনের মধ্যে কবিতার নৌকো ভাসিয়ে অমিতাভ পৌঁছোতে চেয়েছে মনের ওপারে।

     

    এই বইয়ের একটি কবিতায় অমিতাভ লিখেছে—

    “মনের আমি, মনের তুমি, মন দিয়ে যায় চেনা।

    মনকে নিয়েই আজকে আমার বাজলো মনোবীণা।”

    আমরা কি নিজেদের সেই মনকে চিনি? সেই অচেনা মন কি আমাদের ঠিক মনের মতো? নিজেদের মনের মধ্যেই যে এই সমগ্র বিশ্ব জগৎ, তা কি আমরা জানি?

     

    এই কবিতার বইয়ে রয়েছে এক অচেনা অজানা মন-ভ্রমণ কাহিনির গল্পকথা। সেখানে কবি শব্দের ওপর শব্দ সাজিয়ে, কবিতার রং-মশাল জ্বালিয়ে পথ দেখিয়েছে নিজেকে, তোমাকে, আমাদের সবাইকে। কবি-মন নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছে সবার মধ্যে। আবার, সবাইকে আপন করে নিয়ে সেই মন খুঁজে পেয়েছে ভালো থাকার এবং ভালো রাখার ঠিকানা, ভালোবাসার পথ ধরে। অমিতাভ লিখেছে—

    “মন তুই ভালো রাখিস, মন তুই ভালোবাসিস, মন তুই ভালো থাকিস।”

     

    যদি মন দিয়ে এই বইয়ের কবিতাগুলোতে ডুব দেওয়া যায়, তবে আমরা সবাই খুঁজে পেতে পারি সেই অতি পরিচিত কিন্তু অজানা পথের সন্ধান আমাদের নিজেদের গোপন মনকে চুরি করে।

    176.00220.00

    ITI AMI ইতি অমি

    176.00220.00
  • MRITYUR SAMNE RICKSHAW STAND মৃত্যুর সামনে রিকশা স্ট্যান্ড

    এই প্রাচীন শহরের উত্তর অংশের এক গলির ভেতর প্রায় ত্রিশ বছর আগে ঘটে যাওয়া নৃশংস জোড়া খুনের সাথে অদ্ভুত মিল পাওয়া যায় আজকের দিনে ঘটে যাওয়া পরপর দুটি জঘন্য হত্যাকাণ্ডের। প্রতি ক্ষেত্রেই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে হাতে টানা রিকশার ভেতর। তবে কি ত্রিশ বছরের ব্যবধানে রক্ত তৃষ্ণায় মাতাল হয়ে একই খুনি পথে নেমেছে? তদন্তে নামে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার দৃপ্তা ও তার লোকজন। পূর্ণিমা রাত, চাঁদ, যাত্রা ও হাতে টানা রিকশার অনুরণন নিয়ে এই কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর কলকাতার পু্রোনো গলি ঘুঁজি আর বাড়ির আনাচে কানাচে। মৃত্যুর সামনে সত্যিই কি আমাদের জন্য অপেক্ষা করে এক রিকশা স্ট্যান্ড? আসুন উত্তর খু্ঁজি।
    264.00330.00
  • ARKA 3 অর্ক ৩

    শহরে একটা বিষাক্ত কীট ঢুকে পড়েছে। যার কামড়ে আহত অচেনা গলি থেকে রাজপথ। গাঢ় অন্ধকারের আড়াল থেকে আঘাত হানে সে। আর শিকারের অন্তিম আর্তনাদে সে ভাসতে থাকে সুখের সাগরে। ক্রুরতার নিরিখে সে প্রত্যেকবার নিজেকেই ছাপিয়ে যেতে চায়।
    এই অন্ধকারের বুক চিরে রুখে দাঁড়ায় অর্ক। অর্ক বেপরোয়া, একরোখা, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী। ভুলে ভরা প্রত্যেকটা পদক্ষেপ তাকে বারবার আছড়ে ফেলে বাস্তবের মাটিতে। কিন্তু যারা বারবার হেরে গিয়েও থামে না, তারাই প্রকৃত যোদ্ধা। তাই অর্কও একজন যোদ্ধা।
    শত্রুর বন্দুকের সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে দাঁড়িয়ে সমস্ত ভয়কে উপক্ষা করে যে হাসার ক্ষমতা রাখে সেই অর্ক। সেই ওয়ারিয়র। এত ক্ষমতা সত্ত্বেও সে কি পারবে তার শহরে ঢুকে পড়া অবাঞ্ছিত অতিথিকে আটকাতে! সিটবেল্ট বেঁধে নিন। রোলারকোস্টার রাইড শুরু হল বলে…
    280.00350.00

    ARKA 3 অর্ক ৩

    280.00350.00
  • MUTHOY BHORA EKLA PRITHIBI মুঠোয় ভরা একলা পৃথিবী

    কলেজের দিনগুলো আমাকে অহেতুক বড়ো করে তুলেছিল। শৈশবের স্মৃতি পুরোনো বন্ধুর মুখের মতো আবছা হয়ে যায়। বিচ্ছেদ আর বিচ্ছেদ, নীরবে চলে এসেছি নির্জন এক দ্বীপে। অথচ চারিদিকে জল নেই। অনন্ত শূন্যতা। এক কিশোরীর কথা লিখেছি যার বন্ধু ছিল কান্না। তার কথা লিখেছি। তার কথাই তো লেখা যায়। লেখাই আমাকে ঠেলে দিয়েছিল মৃত্যুর খাদ থেকে জীবনের ঘাসজমিতে।
    152.00190.00
  • ALOR PANDULIPI আলোর পাণ্ডুলিপি

    এই পৃথিবীর কিছু মানুষ, যাঁরা অন্ধকার ঠেলে আলো এনেছেন। তাঁদের জীবন রূঢ় বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়েও যেন রূপকথা। আমরা যারা সহজে হেরে যাই, অজুহাত দিই পালিয়ে যাওয়ার— তাদের বেঁচে থাকার প্রেরণা দেয়। সেরকমই ২২টি কাহিনি নিয়ে এই বইটি রোলার কোস্টার রাইডের মতো রোমাঞ্চকর, যেখানে চড়ার পর আপনার মনে হবে লড়াইয়ের আগে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া উচিত নয়…
    200.00250.00
  • EK TIPU ONEK TIPU এক টিপু অনেক টিপু

    এই সংকলনে সব গল্পেরই নায়ক যে কিশোর, তার নাম টিপু৷ টিপু একজন নয়, হয়তো-বা টিপু নামের অনেক কিশোরের গল্প যাতে ভৌতিক, রহস্য, হাসি, রূপকথার পাশাপাশি কৈশোরের সেই সব সোনালি দিনগুলোর কথা ধরা আছে৷
    কিছু গল্প কিশোরভারতী সহ অন্যান্য পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত, আবার এর পাশাপাশি অনেক নতুন গল্পও আছে৷
    টিপুর আশেপাশে যে চরিত্ররা ঘোরে তা যেন আমাদের ভীষণ পরিচিত৷
    টিপুরা খেলুক সবুজ মাঠে, স্বপ্ন দেখুক, অংক ভীতি দূর হোক৷
    টিপুদের এ গল্প সবার। কারণ, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে৷
    184.00230.00
  • AMAY TUMI SAMLE REKHO আমায় তুমি সামলে রেখো

    প্রেম, বিরহ, আশা এবং বিষাদ- জীবনের প্রতিটি অনুভূতি যেন শব্দের খেলা হয়ে ধরা দিয়েছে এই কাব্যগ্রন্থে। ‘আমায় তুমি সামলে রেখো’ শুধুমাত্র কবিতার একটি সংকলন নয়, এটি অনুভূতির এক নির্জন ভ্রমণ যেখানে প্রতিটি কবিতা পাঠকের মনের সঙ্গে নিবিড় সংলাপে আবদ্ধ হয়।

    এই বইয়ের কবিতাগুলো কখনও প্রেমের রোমাঞ্চ নিয়ে হাজির হয়, কখনও জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরে, আবার কখনও এক নির্জন মানুষের একাকী পথচলার কথা ব্যক্ত করে। এই বই প্রেমের প্রথম স্পর্শ থেকে শুরু করে বিচ্ছেদের তীব্র যন্ত্রণায় ডুব দেয়। এতে আছে বৃষ্টিভেজা বিকেলের স্বপ্ন, একলা চাঁদনি রাতের বিষণ্ণতা এবং হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির অশ্রুভেজা নৈঃশব্দ্য। বইয়ের প্রতিটি কবিতা এক-একটি মনের আয়না যেখানে পাঠক নিজের হারানো অনুভূতিগুলো খুঁজে পাবে। কখনও অজান্তেই মনের কোণে জমে থাকা দুঃখ ফুড়ে জল আসবে, আবার কখনও জীবনের অনিশ্চয়তার মাঝেও শান্তির পরশ পাওয়া যাবে।

    ‘আমায় তুমি সামলে রেখো’ সেই পাঠকদের জন্য যারা হৃদয় অনুভূতির গভীরে ডুব দিতে ভালোবাসে। প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি পঙক্তিতে আছে এক সহজ অথচ গভীর গল্প, যা পাঠককে আরও একবার নিজস্ব অনুভবের জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

    136.00170.00
  • BOIDIK POURANIK THEKE LOUKIK বৈদিক পৌরাণিক থেকে লৌকিক

    বেদ, পুরাণ এগুলোর কোনওটিই দূর গ্রহের বিষয় নয়। দূরের করে রাখা হয়েছে। এতটাই দূর করে রেখেছি আমরা যে সেখানে পৌঁছোতে গেলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। আর লৌকিক বা লোক ইতিহাস এতই কাছের যে আমাদের নজর তার পানে নামে না। এ সবের মাঝে হাজার প্রশ্ন, কথা, কাহিনি, দর্শন- তারই কিছু স্বাদ, তারই কিছু আহ্লাদ নিয়ে তৈরি এই যাত্রাপথ– বৈদিক পৌরাণিক থেকে লৌকিক।
    216.00270.00
  • SHREECHAITANYER PATHE PATHE শ্রীচৈতন্যের পথে পথে

    পনেরো শতকের অস্থির বঙ্গদেশ। ধর্ম মানুষকে ধারণ করার বদলে কশাঘাত হানতে ব্যস্ত। পীড়ন ও সুবিধাবাদে অভ্যস্ত হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষজন দলে দলে ধর্মান্তরিত হচ্ছে। চারিদিকে কেবল হিংসা, বৈরী, ও যন্ত্রণার ছবি। এমনই এক সময়ে পৃথিবীতে এলেন জগন্নাথ মিশ্র ও শচীদেবীর কনিষ্ঠ সন্তান বিশ্বম্ভর। ঐশী ইঙ্গিতে তাঁর আশেপাশে এসে হাজির হলেন পার্ষদবৃন্দ। খুলুঞ্চির বোল উঠল শ্রীবাস অঙ্গনে। ক্রমে ক্রমে সেই বোল আর সংকীর্তনের মধুর ধ্বনি বাংলা পেরিয়ে মাতিয়ে তুলল প্রায় গোটা দেশ। জাতপাতের বেড়াজাল ভেঙে মানুষকে ভালোবাসার মন্ত্র নিয়ে পথে নামলেন প্রেমের ঠাকুর শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। ভালোবাসার এই পথ কি ছিল কেবলই ধর্মীয়? তাঁর সাধন-পথ কি শুধুই বৈয়ব পন্থায় বাঁধা? শুধু কি বৈকুণ্ঠের তরে বৈয়বের গান! মনে তো হয় না। তাঁর এই পথ ছিল আর রহস্যময়। ছিল অন্য কোনও ঐশ্বরিক ইঙ্গিতের দিশারী। যার কারণে পথ চলছেন সচল জগন্নাথ– কণ্ঠে “হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামেব কেবলম্”-আশ্বাসবাণী।
    248.00310.00
  • TUMI JEKHANEI JAO তুমি যেখানেই যাও

    সব গল্পই ভালোবাসার গল্প। আর ভালোবাসায় পূর্ণতা অধরা বলেই তারা গহীন বিষণ্ণতার গল্প।
    কোনও চোখ-ধাঁধানো আবহে নয়, দৈনন্দিন যাপনের আনাচে-কানাচে, অযত্নে অবহেলায় থাকে যে ভালোবাসা, তাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে কাহিনি।
    এই গল্পগুলিতে কোথাও রয়েছে পুরুষের একাকিত্বতা বা অপারগতা, আবার কোথাও রয়েছে নারীর বিপন্নতা বা নিজস্ব ঠিকানা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা, যাকে ভার্জিনিয়া উলফ বলেছেন, ‘আ রুম অব ওয়ান’স ওন’।
    প্রত্যেকের জীবনেই একটা নদী হয়ে ওঠার গল্প থাকে। পাঠক যদি গল্পগুলিতে সেই নদীর সন্ধান পান, সেই হবে লেখকের পুরস্কার।
    216.00270.00
  • DAYBODDHO দায়বদ্ধ

    দেশ ভেঙে যায়। ভেঙে যায় মানুষ। ছিঁড়ে যায় শিকড়। জীবন থামে না। সময়ের চাকায় অভিশাপ লেখা থাকে। কাছের মানুষ দূরে সরে যায়। পিছন ফিরে তাকায় না আর। সময় হাঁপিয়ে যায়। সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্ত। নরম আলো। তবু চোখ ঝলসে যেতে চায়। অনভ্যাস। দূরের মানুষ কাছে আসে। কখন যে নিজের হয়ে যায়! জীবন আঁকড়ে ধরে জীবনকে। কর্তব্যের দায় কখন যেন দায়িত্ব ছুঁয়ে ভালোবাসা হয়ে যায়। বয়ে চলে। আবহমান। কখনও রক্তের উত্তরাধিকার। কখনও-বা ভালোবাসার। এ গল্পে দেশ আছে, দেশভাগ আছে, পরবাস আছে। এ গল্প জীবনযুদ্ধের হাত ধরে থাকা ভালোবাসাটুকু। এ গল্প সুভাষিণীর, এ গল্প অমিতেশের, অনিন্দিতার, শঙ্কুর…। এ গল্প মানুষের।
    264.00330.00
  • JADER TRITIYO CHOKKH NEI যাদের তৃতীয় চোখ নেই

    দুটো অপরাধহীন চোখ,
    এক মূর্তিমান বিভীষিকা আগলে
    রাত্রির সম্মুখে নির্লিপ্ত প্রহসনে মগ্ন।
    আমি মধ্যগগন থেকে,
    হাসিমুখ দেখে যাই, সারাদিন সারারাত।
    ফিশফিশে শব্দের আড়ালে
    হলদে দাঁতের হাসি চেপে ধরে গলা।
    সন্তর্পণে ভেসে যায়—
    বিভীষিকা, দুটো অপরাধহীন চোখ, রাত্রি,
    নির্লিপ্ত আঙুল, ফরেনসিক, মৃত্যু, হেডলাইন,
    আইন ও লোহার শৃঙ্খল।
    সম্রাট জেগে নেই,
    রাত্রি দ্বিপ্রহরে বিচার ঘুমিয়ে আছে রাজদণ্ডের খোলসে।
    এখান সবাই মূর্তিমান রাক্ষস,
    সবাই জীবন্ত আত্মা।
    হ্যালোইনের আঁধার জ্বলে নিভে উঠছে নিয়ত।
    যাদের তৃতীয় চোখ নেই, তারা কিছু দেখতে পাইনি।
    দেখতে পায় না…
    152.00190.00

Main Menu